মানুষের তরে মানুষ আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে
এমন গল্প মনে হয় ভুড়ি ভুড়ি আছে যাযাবর পাখিরালয়ে। প্রতিবার পুজোয় আমরা ভাইরা মাকে শাড়ি দিতে চাইলেই মা বলে “আমার লাগবেনারে শাড়ী। এক আলমাড়ী ভর্তি শাড়ি অথচ পড়াই হয়না সেগুলি”। এবার পুজোয় আমরা চার ভাই এক দারুন সীদ্ধান্ত নিলাম। ঠিক করলাম গুরুজনেরা যতোই আপত্তি করুকনা কেন আগামী বছর থেকে আমরা পূজোয় নতুন বস্ত্র দেবো তাদের সবাইকে আর তাদের পুরনো বস্ত্রগুলো তাদের হাত দিয়েই গরীবদের দান করবো। আর নষ্ট করার ইচ্ছা নেই মায়ের অমূল্য শাড়ীগুলি। মা রাজী হয়ে সম্মতি দিল আমাদের এমন প্রস্তাবে।
আমার পোস্টের প্রথম অধ্যায়টা বাস্তবের গল্প হলেও দ্বিতীয় অধ্যায়টা একটি পরোপকারী সীদ্ধান্ত। আচ্ছা সোনা দানা অর্থ জমানোর যুক্তি আছে কিন্তু এমনভাবে আলমারি ঠেসে পোশাক জমিয়ে সেগুলিকে পঁচানোর কোনো যুক্তি আছে কি? পারিনা কি আমরা এই পুজো আর্চার দিনে নতুন না হোক কিছু এমন পুরোনো যক্ষের ধন ঐ পোশাকগুলি দান করতে ঐ বিবস্ত্রা বা অর্ধনগ্না মানুষদের। পারিনা একটু ঐ উলঙ্গ দুধের শিশু বা তার বেআব্রু মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে? পারিনা আমাদের স্বার্থান্বেষী মনটাকে একটু “#সুখের_চাদর” পড়াতে?
বন্ধু উৎসবের দিনে ১০ টা নতুন পোশাক পড়ে যা সুখ তার থেকে হাজার গুন বেশী সুখ পেতে পারি আমরা একটা নতুন বা পুরোনো ভাল বস্ত্র দান করে। এটা কিন্তু আমার জ্ঞান নয় অনুভব বলতে পারো।
বন্ধুরা, আমরা সবাই প্রাথমিকভাবে একটা সীদ্ধান্ত নিলাম যে কালী পুজোর পর শীতের শুরুতে #যাযাবর_পাখিরালয় এর তরফে একটা উদ্যোগ নেবো আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের জন্য কিছু করার ও তাদেরকে #সুখের_চাদর পরানোর। সবাইকে জানাবো তার আগে ও আশা করবো সবারই সহযোগীতা পাবো এমন প্রয়াসে। যারা এখানে পারবেননা তারা তাদের নিজের মহল্লায়ও এমন কিছু করতে পারেন।
“মানুষের তরে মানুষ আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”।
ভাল থেকো, ভাল রেখো।
যাযাবর